সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাঁশখালীতে সমুদ্রের চর দখলের খবরে প্রশাসনের অভিযান

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৭

শেয়ার

বাঁশখালীতে সমুদ্রের চর দখলের খবরে প্রশাসনের অভিযান
ছবি: বাংলা এডিশন

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের উত্তর পাশে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি, বিসিক ও উপকূলীয় বন বিভাগের কয়েক হাজার একর জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে একদল ভূমিদস্যু। কয়েকদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক একটি সিন্ডিকেট এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের নাম ব্যবহার করে পাঁচ থেকে ছয়টি স্কাভেটর দিয়ে মাটি কেটে সমুদ্রের চর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলো। ইতোমধ্যে ঝাউবাগানের ২৫ থেকে৩০ গাছ উপড়ে ফেলছে ওই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।

খবর পেয়ে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামশেদুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর সানী আকনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষকে সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের সাইট প্রজেক্ট ম্যানেজার ফয়জুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুন ফা ড্রেজড ম্যাটেরিয়ালের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ পেয়েছে। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কাজ করছে। এসব কার্যক্রমের দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও থার্ড পার্টির। তিনি দাবি করেন, এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মেনেই কাজ করছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল প্ল্যান্টের নাম ব্যবহার করে অন্যান্য স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে, যার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জমশেদুল আলম বলেন, ‘সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে মাটি খনন করে বাঁধ দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’



banner close
banner close