রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাংলাদেশি ১৩ জেলে ভারতের কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৬:৪৬

শেয়ার

বাংলাদেশি ১৩ জেলে ভারতের কারাগারে
বাংলাদেশি ১৩ জেলে ভারতের কারাগারে

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মোট ১৩ জন জেলে বর্তমানে ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতের কোস্টগার্ড গভীর সমুদ্রে তাদের আটক করে পশ্চিমবঙ্গের কাটদ্বীপ জেলহাজতে নিয়ে যায়। বর্তমানে আটক জেলেদের পরিবারে চলছে চরম উৎকণ্ঠা আহাজারি।

জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিরোজপুরের মালেক বেপারীর মালিকানাধীন এম.ভি. মায়ের দোয়া নামক একটি ফিশিং ট্রলার গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার সময় চালনার নম্বর খাড়িবয়া এলাকায় জাল ফেলার পর ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিন মেরামতের চেষ্টা ব্যর্থ হলে সাগরের স্রোতে ট্রলারটি বাংলাদেশের জলসীমা পেরিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে আটক করে।

আটক জেলেদের মধ্যে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার তিনজন হলেন,পাড়েরহাটের বাদুরা এলাকার সুরাত হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন, চারাখালী এলাকার ফারুক জোমাদ্দারের ছেলে তরিকুল ইসলাম এবং উমেদপুর এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন। এছাড়া বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার ১০ জন জেলে হলেনআব্দুল মন্নান শেখের ছেলে খোকন মাঝি, সিদ্দিক মোল্লার ছেলে খায়রুল বাশার, সোবাজহান শেখের ছেলে মিরাজ শেখ, দেলাওয়ার ডাকুয়ার ছেলে তরিকুল ডাকুয়া, সৈয়দ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, হাশেম খানের ছেলে আকরাম খান, হানিফ মোল্লার ছেলে ইউসুফ মোল্লা, মন্নান শেখের ছেলে রাজু শেখ, বারেক সিকদারের ছেলে রাকিব সিকদার এবং শুকুর আলী বেপারীর ছেলে মারুফ বেপারী।

আটক জেলেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর থেকেই জেলেরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ থেকে সাগরের স্রোতে ভেসে ভারতের জলসীমায় চলে গেলে তাদের আটক করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হয়নি। আটক জেলেদের পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন এবং দ্রুত তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মৎস্য অফিস বা প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেননি। কতজন জেলে নিখোঁজ বা আটক রয়েছেন, তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়ে ট্রলার মালিক মালেক বেপারী বলেন, আমার ট্রলার এবং সব জেলে এখন ভারতের জেলখানায় আছে বলে শুনেছি। পরিবারের সদস্যরা কষ্টে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইন্দুরকানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমাদের লোকজন খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বিস্তারিত জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত জানান, “কতজন জেলে নিখোঁজ বা আটক রয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। তথ্য সংগ্রহ শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



banner close
banner close