রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৪

শেয়ার

নড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
ছবি: বাংলা এডিশন

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাসুদা বেগম (৬০) ও খোকন ঢালী (৪৫) দুই মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে বুধবার রাতে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের কালিকা প্রসাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের কালিকা প্রসাদ গ্রামের মৃত জলিল ঢালীর ছেলে খোকন ঢালীর সঙ্গে একই গ্রামের লাল মিয়া ঢালীর ছেলে দুলাল ঢালীর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে দুলাল ঢালীর (৪৫) নেতৃত্বে তার ছেলে নিরব ঢালী (২৬), কাওসার ঢালী (২৪), মারুফ ঢালী (১৮) ও স্ত্রী রোকসানা বেগম (৪০) সহ আরও ১০/১২ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় খোকন ঢালী (৪৫) কে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। ছেলেকে বাঁচাতে এসে মা মাসুদা বেগমও গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে আহতরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে আহত খোকন ঢালী বলেন, দুলাল ঢালীর সঙ্গে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে দুলাল ঢালীর নেতৃত্বে তার ছেলে নিরব ঢালী, কাওসার ঢালী, মারুফ ঢালী ও স্ত্রী রোকসানা বেগম সহ আরও ১০/১২ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্য আমাকে কোপাতে থাকে। আর আমার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং আমার হাত ভেঙে ফেলে। আমার মা আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। আমরা এর বিচার চাই। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

আহত মাসুদা বেগম বলেন, বুধবার রাতে আমার ছেলেকে হামলা করে দুলাল ঢালী ও ছেলে-স্ত্রী সহ সন্ত্রাসীরা। আমার ছেলেকে কোপাতে দেখে আমি বাঁধা দিলে আমার মাথায়ও ছেনদা দিয়ে কোপায়। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্যদের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



banner close
banner close