ফেলানী হত্যার এক যুগ পর তার ছোট ভাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)তে চাকরি পেয়েছেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণ হারান ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসছে ফেলানীর পরিবার।
তার ছোট ভাই গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, “বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। তার ছোট ভাই সফলভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
ফেলানীর ছোট ভাইয়ের এই যোগদান দীর্ঘদিনের বেদনার ভেতরে এক নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া বোনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন তিনি পূর্ণ করবেন।
আরও পড়ুন:








