এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া (৬২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নিহত ইদন মিয়া (৬২) আলোকবালি ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএনপির কর্মী। ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াবআলীর সমর্থক।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ আলী গ্রুপের সঙ্গে আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াবআলীর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পলায়নের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এক বছর পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আসাদ আলীর সমর্থকরা পুনরায় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই সময় বিএনপির লোকজন বাধা দেয়। একপর্যায়ে সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষে করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ২৫ জন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
অন্যদিকে সংবাদ সংগ্রহের সময় সকাল পৌনে ১১টার দিকে যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় নিহতের স্বজনরা। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নরসিংদী মডেল থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন:








