রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় অপারেশনের তিন মাস পর রোগীর পেটে পাওয়া গেলো গজ কাপড়

রেজাউল করিম, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২৪

শেয়ার

চুয়াডাঙ্গায় অপারেশনের তিন মাস পর রোগীর পেটে পাওয়া গেলো গজ কাপড়
ছবি: বাংলা এডিশন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর চিকিৎসা অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছে। পপুলার মেডিকেল সেন্টারে ভুল অপারেশনের পর রোগীর পেটের ভেতর থেকে আস্ত একটি গজ কাপড় বের করেছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কতজন রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে অযোগ্য চিকিৎসকের কারণে। আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর খালপাড়া গ্রামের মো. মোশারফ আলী স্ত্রী মোছা. সায়রা খাতুন এ বছরের ২৫ মে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পপুলার মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন। তীব্র পেটব্যথার কারণে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তার হোসাইন ইমাম তাড়াড়ি করে সার্জারি করেন। অপারেশনের জন্য পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয়। অপারেশনের পাঁচ দিন পর তাকে বাড়ি পাঠানো হলেও বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে তার পেটের ব্যথা বেড়ে যায় এবং পেট শক্ত হয়ে টিউমারের মতো কিছু অনুভূত হতে থাকে।

দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান পাননি। ১৩ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার ডক্টর’স কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হলে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে পুনরায় অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় রোগীর পেটের ভেতর থেকে একটি আস্ত গজ কাপড় বের করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোগীর পেট থেকে গজ কাপড় বের করা হয়েছে। এতে পুঁজ ও নষ্ট রক্ত জমে ছিলো। সময়মতো অপারেশন না হলে রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত ছিলো। এ ধরনের অপারেশন গ্রহণযোগ্য নয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার হোসাইন ইমামের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ার ক্লিনিকে তার ভুল চিকিৎসার কারণে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।



banner close
banner close