ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মহাসড়কে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করায় সোমবার সকাল থেকে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়। এর ফলে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের পাশে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
ভাঙ্গা উপজেলা সদরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পুখুরিয়া, মাধবপুর, হামিরদী ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল থেকে অবরোধকারীরা অবস্থান নিলেও পুলিশি তৎপরতায় তারা রাস্তার পাশে সরে দাঁড়ান। এতে মহাসড়ক ও রেলপথে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে জনগণের ভোগান্তি না হয়। আন্দোলনকারীরা এখন রাস্তার পাশে অবস্থান করছেন, মহাসড়ক খালি রাখা হয়েছে। মহাসড়ক সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও আনসার কাজ করছে। আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত অবরোধ করেনি এলাকাবাসী। তবে তারা তাদের দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে।’
এদিকে এ আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিক মিঞাকে রবিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সড়ক অবরোধের ঘটনাকে অবৈধ দাবি উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে বাদী হয়ে মামলা করেন ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন:








