চাঁদপুর শহরের পৌর কবরস্থানে অবিশ্বাস্য ও হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। জীবিত নবজাতককে দাফন করতে রেখে পালিয়ে যায় স্বজনরা।
রবিবার দুপুরে দাফনের সময় আযান শুনে নবজাতক নড়েচড়ে ওঠে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে দ্রুত নবজাতককে উদ্ধার করে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে অসংখ্য মানুষ মানবিক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয়দের দাবি, কবরস্থানের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরা ও নিকটবর্তী হোটেলের ফুটেজ পরীক্ষা করলে নবজাতককে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।
পৌর কবরস্থানের কবর খোদক শাহজাহান জানান, দুপুরে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তি একটি কার্টুনে করে শিশুকে দিয়ে যায়। শিশু মৃত, তাই দ্রুত কবরস্থ করার পরামর্শ দিয়ে যান তিনি। পরে দাফন করার পূর্বে আযান দিলে নড়েচড়ে উঠে শিশুটি। খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা নবজাতককে শহরের ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান এবং দ্রুত এনআইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের এইচআর এডমিন কামরুল ইসলাম জুগলু বলেন, মূলত স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারে তারা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ছেলে নবজাতকটিকে আমরা তাৎক্ষণিক এনআইসিইতে রেখে চিকিৎসা শুরু তরি। বর্তমানে এই নবজাতকের সকল দায়িত্ব হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহিন নিয়েছেন।
হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার (এনআইসিইউ) ডা. ছোটন মিয়াজী জানান, শিশুটির ওজন ৮০০ গ্রাম। আজই জন্ম হয়েছে বলছেন তিনি। প্রথমে অক্সিজেন লেভেল কম ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
আরও পড়ুন:








