রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

একটি ব্রিজই রক্ষা করতে পারে দুটি গ্রামের শতাধিক শিশুর জীবন

ভোলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৮

আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:০৬

শেয়ার

একটি ব্রিজই রক্ষা করতে পারে দুটি গ্রামের শতাধিক শিশুর জীবন
ছবি: বাংলা এডিশন

মাত্র ৬৫ ফুট দৈর্ঘের একটি ব্রিজ পাল্টে দিতে পারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২০ জন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের শংকিত জীবন।

একটি ছোট আকারের ব্রিজ ও ব্রিজের সংযোগের পাকা সড়ক পূণঃ সংস্কার কাজ হলেই পাল্টে যায় দুটি গ্রামের চিত্র।

সরেজমিন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় চরসীতারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই খালের উপর ব্রিজটি দির্ঘ ১০ বছর ধরে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজের দুইপ্রান্তে এলাকা বাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে গাছের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।

তবে শিশুদের স্কুলে যাওয়া আসায় সাঁকো পার হতে মায়েরা সাহায্য করলেও বেশি সমস্যায় পড়েন নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া বৃদ্ধ মুসুল্লিরা।

কথা হয় ৬৫ বছর বয়সি মুসুল্লি জেহান আলী বেপারির সাথে, তিনি এই মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন কত জনপ্রতিনিধি আসলো গেলো আমাদের ভাগ্য বদলালো না, যদি কেউ কিছু তক্তা (কাঠ) দিয়ে চওড়া করে দিতো তাহলে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করে তার জন্য দোয়া করতাম।

একই রকম কথা বলেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মা মরিয়ম বলেন সকালে মেয়েকে সাঁকো পাড় করে দেই আবার ছুটির সময় হলে এসে দাড়িয়ে থাকি মেয়েকে পাড় করে নেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন এ সাঁকো পার হতে ইতিপুর্বে মারা যায় ২ শিশু শিক্ষার্থী।

স্থানীয় বাসীন্দা হারুন চোকদারের পুত্র বধু বলেন সাঁকো ভাঙা যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই আমার সন্তান নানা বাড়ি নোয়াখালী রেখে পড়াই। ব্রিজ হলে বাড়ির কাছের স্কুলে নিয়ে আসতাম।

এখানে দাড়িয়ে থেকে শিক্ষক ও ম্যাডাম (শিক্ষিকা) সাঁকো পার করে নেন শিশুদের আবার স্কুল ছুটির সময় অনেক শিশুকে পার করে দিয়ে যায় বলেও জানান স্থানীয়রা।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ও ব্রিজ সংস্কার হলে এলাকার মানুষের দূর্ভোগ গুচে যাবার সাথে সাথে পাল্টে যাবে গ্রামটির চিত্র।

একটি ব্রিজের জন্য শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীরা ।

শিক্ষার্থীদের আতংকিত দূর্ভোগ নিরসন করতে ব্রিজ নির্মানের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে অফিসে না পেয়ে কল করলে রিসিভ না করায় তার মতামত পেশ করা যায়নি।

সদর উপজেলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আবু আশ্রাফুল হাসান জানিয়েছেন আমি আমাদের লোক পাঠিয়ে ভিজিট করিয়ে ব্রিজের প্রস্তাব করবো। অর্থ বরাদ্দ আসলে দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করা হবে।



banner close
banner close