সম্পত্তি শুধু ইট-পাথরের দেয়াল নয়, এর সাথে জড়িয়ে থাকে রক্তের সম্পর্ক, স্মৃতি আর ভালোবাসা। কিন্তু আজকাল সেই সম্পত্তিই হয়ে উঠছে অশান্তির আগুন—ভাঙছে ভাই-বোনের হাসি, ছিন্ন হচ্ছে পরিবার নামের মায়ার বাঁধন।
ফেনীর ফরহাদনগর ইউনিয়নের নৈরাজপুর গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন গৃহবধূ জাহানারা বেগম তিনি মৃত আব্দুল কাদের মাবু মেম্বারের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাহানারা বেগমের ভাসুর আব্দুর রহিম (ওমান বিএনপির সহ-সভাপতি) ও তার ছেলে আব্দুল আহাদসহ পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে পুকুর জোরপূর্বক ভরাট করতে গেলে বাধা দেয় মৃত মাবু মেম্বারের সন্তানরা। এ সময় আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে আব্দুল আহাদ, আব্দুল খালেক, শিপন সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
শিপন একদিকে কখনো আওয়ামী লীগ, আবার কখনো বিএনপির পরিচয় ভেঙে–গড়ে নিজের এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের দোলাচলে থেকেও প্রভাব-
স্থানীয়দের অভিযোগ, দলীয় ব্যানার বদলালেও তার প্রভাব কমছে না; বরং নানা কৌশলে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন শিপন
প্রথমে জাহানারার ছেলে জাফর আহমেদ ও বড় ছেলে পেয়ার আহমেদ আহত হন। পরে বাড়ির দরজা আটকে দিয়ে জাহানারা বেগমের বুকের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আব্দুর রহিম। তার ছেলে আহাদ প্রথমে আঘাত করে এবং শিপন নামের এক ব্যক্তি ইট দিয়ে জাহানারাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি একই পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছিলেন জাহানারার স্বামী
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে আব্দুর রহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ঘরে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা ঘরে তালা ঝুলিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সজল কান্তি জানান—নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








