লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদান করে আসছেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন কীটনাশক লাইসেন্স করতে ৩৪৫ টাকা এবং নবায়নে ২৩০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দুই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাটগ্রামের কাঁঠালতলী বাজারের ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, লাইসেন্স করার জন্য আমাদের পাঁচ বন্ধুর কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে হামিদুল।
একইভাবে বাউরা বাজারের ব্যবসায়ী তহিরুল ইসলাম জানান, লাইসেন্স বাবদ আমার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে।
বাউরা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী রাসেল জানান, তার কাছে লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ৩ হাজার টাকা নিয়েছে হামিদুল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে ওদের টাকা জমা আছে। চাইলে ফেরত নিতে পারেন। আমি অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি কারণ বিভিন্ন ধাপে টাকা দিতে হয়।
তবে তার এ বক্তব্যে আরও প্রশ্ন উঠছে যদি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া হয়, তাহলে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বৈধতা কোথায়? আর বিভিন্ন ধাপে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আসলে কার কাছে যায় সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন বাজারের কিটনাশক ব্যবসায়ীরা একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, নতুন লাইসেন্স করার সময় এবং প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নের সময় এভাবে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ভয়ে অনেকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না।
পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জামিয়ার রহমান বলেন, সরকারি নিয়মের বাহিরে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি লাইসেন্স বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:








