শেরপুরে সাপ ধরার সময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে জামান মিয়া (৬৫) নামে এক ওঝার মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ অবহেলা করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে পথিমধ্যে জামান মিয়া মারা যান। স্বজনরা জামান মিয়ার মৃত্যুকে শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।
১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন জাগো নিউজকে জানান, শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এন্টিভেনাম সরবরাহ আছে। জামান মিয়ার বিষয়টি নিয়ে কি হয়েছে, তা আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ডোবারচর গ্রামে জামান মিয়াকে সাপে কামড় দেয়।
জামান মিয়ার স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ওঝা জামাল উদ্দিন পার্শ্ববর্তী এলাকা ৪নং চরে একটি বিষাক্ত সাপ ধরতে যান। ধরার সময় সাপটি তার হাতের আঙ্গুলে কামড় দেয়। কিন্তু ওঝা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ঘণ্টা দুয়েক পরে ওঝার শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত সদর হাসপাতালে আনা হয়।
নিহতের স্বজনদের দঅভিযোগ, হাসপাতালে এন্টিভেনাম নেই বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানান। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে একটি এন্টিভেনাম বাহির থেকে সংগ্রহ করে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ওঝাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শেরপুর ময়মনসিংহ সড়কের নকলা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। এখানে হাসপাতাল কতৃপক্ষ প্রথমেই এন্টিভেনাম টি প্রয়োগ করলে, হয়তো জামান মিয়া বেঁচে যেতেন। তাদের টালবাহানায় ওঝা জামান মিয়া মারা গেছেন।
জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সেলিম মিঞা জানান, হাসপাতালে এন্টিভেনাম সরবরাহ আছে। রোগীর সঙ্গে এন্টিভেনাম নিয়ে কি হয়েছে, তা আরএমওকে (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) জানানো হয়েছে। বিষয়টি দেখা হবে।
আরও পড়ুন:








