রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির জেরে কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ব্যাপক ভাঙচুর

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪

আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১

শেয়ার

অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির জেরে কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ব্যাপক ভাঙচুর
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ব্যাপক ভাঙচুর

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্যাপক ভাঙচুর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি, অব্যবস্থাপনা খেলা স্থগিত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ দর্শকরা স্টেডিয়ামে হামলা চালান। ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ঘটনা ঘটে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা জানিয়েছে, ধারণক্ষমতা মাত্র হাজার হলেও ফাইনাল উপলক্ষে প্রায় ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু বলেন, স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা - হাজার, খুব বেশি হলে হাজার। কিন্তু এবার টিকিট বিক্রি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

দুপুরের মধ্যেই গ্যালারিতে ঠাঁই নেয় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি দর্শক। বিকেল ৩টায় রামু টেকনাফ উপজেলার মধ্যকার ফাইনাল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আলো স্বল্পতার কারণে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ম্যাচ স্থগিত করে আয়োজকরা। ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ দর্শকরা ভাঙচুর শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তেজিত দর্শকরা প্রথমে গ্যালারি প্রবেশগেট ভাঙচুর করেন। পরে মাঠে ঢুকে গোলপোস্ট উপড়ে ফেলেন, ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্সসহ পুরো স্টেডিয়াম ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটাও করেছে। এসময় কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী, সদর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন, একাধিক পুলিশ আনসার বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য রিদোয়ানুল হক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, রাতে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমি নিজে ১৩ হাজার সিরিয়ালের টিকিটও দর্শকের হাতে দেখেছি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, টিকিট সিন্ডিকেট রাতের বেলা হাতবদল করে কালোবাজারে ২০০-৩০০ টাকায় পুনরায় বিক্রি করেছে।

এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।



banner close
banner close