চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করায় চারজনকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী গণ ছুটি ঘোষণা করে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন।
অনির্দিষ্টকালের ছুটির আবেদন লিখে ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ কর্মকর্তা -কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন।এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা।
সোমবার দুপুরে শৈলকূপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এর সিস্টেম সংস্কার এবং আরইবির শোষণ নিপীড়ন থেকে মুক্তির দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে নেত্রকোনার পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত ৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
কিন্তু এ সকল দাবীর প্রেক্ষিতে নেত্রকোনার এজিএম প্রশাসন ও এইচ আরকে সাময়িক বরখাস্ত করে জোরপূর্বক পটুয়াখালীতে সংযুক্ত করেন। এরপর বৃহস্পতিবার আরো তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শৈলকূপা বিদ্যুৎ অফিসের ৮৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের ছুটির আবেদন লিখে কর্মস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।
জানা যায়, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা নেই পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর। অথচ তাদের হাতেই রয়েছে দেশের ৮০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব! এতোবড় দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে পালনে দক্ষতা, সক্ষমতা, জনবল কোনটাই নেই সংস্থাটির। তাদের (বিআরইবি) ভংকুর বিতরণ ব্যবস্থার কারণে সাধারণ গ্রাহক শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, শৈলকূপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা - কর্মচারীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে দমন-নিপীড়ন বন্ধ, দূর্নীতি ও বৈষম্যের সমাধানসহ চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চলছে। এর সাথে আরইবি ও পিবিএস এর মধ্যে চলমান প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব দাবি আদায়ে সমস্যা আরো জটিল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন:








