কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তার মা ফাতেমা আক্তারকে (৫২) হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কুমিল্লা নগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও তীব্র সমালোচনা করেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় নগরীর কান্দিরপাড়স্থ পূবালী চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কুবির বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘বিচার চাই, বিচার চাই’, ‘সুমাইয়ার রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া আফরোজ বলেন, “আমাদের সহপাঠী ও তার মায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা শোকাহত। আমরা চাই দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
আরেক শিক্ষার্থী হুমাইরা তাসনীম প্রমি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক। অপরাধীরা যেই হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, “মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “আমরা মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নগরবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাতের কোনো এক সময়ে কুমিল্লা নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি এলাকায় ভাড়া বাসায় সুমাইয়া আফরিন ও তার মাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সুমাইয়া লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে এখন দুই ভাই বেঁচে আছেন।
আরও পড়ুন:








