রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভোলায় শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৪

শেয়ার

ভোলায় শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ছবি: বাংলা এডিশন

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হওয়ায় ঐ ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষকদের কব্জিতে রেখেই দূর্নিতীর আখড়া বসিয়ে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

ভোলা সদর উপজেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার এজাজুল ইসলাম ও তার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এসব দূর্নিতীর চিত্র।

অভিযোগ উঠেছে উত্তর পশ্চিম কন্দ্রকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম কে বিদ্যালয়ে নামে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক (উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার) এজাজুল ইসলাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের (টিআর) দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। প্রথম ধাপে প্রদেয় এক লক্ষ টাকা এজাজ স্যার নিয়ে যায় পরে দ্বিতীয় ধাপের এক লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম গ্রহণ করেন ।

দুজন মিলে অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে শিক্ষক ইব্রাহিম বলেন দুই লাখের ১ লাখ আমি নিছি আর ১ লাখ প্রশাসক এজাজ স্যার নিছে।

আমি বিদ্যালয়ে কিছু কাজ করছি। তিনি আরো বলেন এজাজ স্যার টাকা আমাকে দিয়ে দিবে বলছে কিন্তু ৪ মাস হয়েছে এখনো দেন নি।

এদিকে সরে জমিন ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম নিজেও ঐ এক লক্ষ টাকা তার নিজের ভোগেই ব্যবহার করেছেন। কার্যত কোন কাজ হয়নি বিদ্যালয়ে কিংবা গ্রামীণ অবকাঠামোগত।

২০২৪/২৫ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বরাদ্দে এ বিদ্যালয়ের অনুকূলে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ শুধু কাগজে কলমে দেখা গেলেও বাস্তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের একটি সাইনবোর্ড তৈরি করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

তবে ঐ সাইনবোর্ড তৈরিতেও করা হয়েছে আরেক অনিয়ম। সাইনবোর্ড টিনের তৈরি ও হস্তাক্ষরের লিখার বিধান থাকলেও তা না মেনে স্বল্প খরচে পিভিসি ব্যানারে করা হয়েছে। সাইনবোর্ড প্রকল্পের পাশে ব্যবহার না করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত জায়গায়।

উপজেলা পরিষদের বিধি মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত মাষ্টাররুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নগদ অর্থ (চেক) প্রদান করেন। সাইনবোর্ড যুক্ত ছবি সংযুক্ত করে বিল প্রাপ্তির কথা থাকলেও মানা হয়নি সে নিয়মনিতী।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এজাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয় অস্বীকার করে বলেন এটা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি আগামীকাল ঐ প্রধান শিক্ষক কে চিঠি প্রদান করবো।

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ কারী অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম ও শিক্ষা অফিসার এজাজুল ইসলাম এর বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অসীম প্রসাদ বিশ্বাস বলেন সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেয়া বা আত্মসাৎ এর বিষয়টি আমি অবহিত নই। এখন জেনেছি এবং দুজনই আমার অধিনস্ত অফিসার আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেব।



banner close
banner close