মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

কুড়িগ্রামে শিশুর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে, নারীসহ চারজন গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৩

শেয়ার

কুড়িগ্রামে শিশুর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে, নারীসহ চারজন গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আট বছরের এক শিশুর মরদেহ প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

শনিবার রাত নয়টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম মুরসালিন মিয়া, সে একই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির সন্তান।

পারিবারিক অভিযোগে জানা যায়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং প্রতিবেশীদের আশ্রয় ও সহায়তার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মুরসালিন নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যা থেকে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতে মাইকিংও করা হয়। শনিবার রাত আটটার দিকে মমিনুলের বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে শিশুর মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে মমিনুলের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন এবং প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার মোফাজ্জল হোসেন জানান, দুটি বাড়ির পাঁচটি কক্ষে আগুন লাগে, যার মধ্যে শয়নকক্ষ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।



banner close
banner close