রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাসেল উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের যতু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ২২ জন রোগী এসেছেন। তার মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসাপাতালে নেওয়ার পর রাসেলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে অনেক বছর আগে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরুল হক। সম্প্রতি তিনি মারা যাওয়ার পর মাটি থেকে কিছুটা উপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটির কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে তৌহিদী জনতার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যেই শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে তৌহিদী জনতা এসে শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন তার ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন, ডাকসু নির্বাচন বাতিলের লক্ষ্যে একটি মহলের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলার নাটক সাজিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের ঘটনাকে সামনে এনে ডাকসু নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:








