মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০ পৌষ, ১৪৩২

মহিলা রোগীর মুখে থাপ্পড় মারার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৮

শেয়ার

মহিলা রোগীর মুখে থাপ্পড় মারার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে সদর হাসপাতালে 'সিবিসি রিপোর্ট' করতে না চাওয়ায় মহিলা রোগীর মুখে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডাঃ দেবাসীস বিশ্বাস।তিনি ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৫ বছর বয়সী মোছা: ঝর্ণা গত সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেন।কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর ডা: দেবাশীষ বিশ্বাস রাউন্ডে গিয়ে সিবিসি পরীক্ষা করতে বললে রোগী সিবিসি পরীক্ষা করতে রাজি না হয়ে বলেন ডা: জাকির হেসেন আমাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেছেন।

এ নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস রোগী ঝর্ণা বেগমের গালে থাপ্পড় মেড়ে বলেন আমার কথা না শুনলে আরো বেশি মারবো।

সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, ঝর্না বেগম সিবিসি পরীক্ষা করতে না চাওয়ায় ডাক্তার তাঁর মুখে থাপ্পড় মারেন। থাপ্পড়ের পর রোগী কান্না কাটি করতে থাকে। পরে বিষয়টি তাঁর পরিবারের জানালে ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস এসে রোগীর পায়ে ধরে মাফ চেয়ে বলেন আমি আপনার ছেলের মতো আমাকে মাফ করে দেন।

এ বিষয়ে ডাঃ দেবাশীষের কাছে জানতে মুঠোফোন কল দিলে তিনি জানান, রোগীর সাথে সিবিসি পরীক্ষা করা নিয়ে তার কেবল কথা কাটাকাটি হয়েছে। তার দাবি, রোগীর গায়ে হাত দিয়ে আমি জ্বর দেখছিলাম আমি রোগীর মুখে থাপ্পড় মারিনি এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরো বলেন, আপনারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাথে কথা বলেন তিনি সব জানেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এ ধরণের ঘটনা আসলে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে আশা করিনা। তিনি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন।



আরও পড়ুন:

banner close
banner close