রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ঘরে-বাইরে মশার উৎপাত চরমে উঠেছে। অথচ মশক নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। তবে এ পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
পৌর এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ এক বছর ধরে মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম তারা দেখেননি। ড্রেনে কীটনাশক প্রয়োগ বা ফগার মেশিন ব্যবহার একেবারে বন্ধ। ফলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে।
বিনোদপুর তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজন কুমার বিষ্ণু বলেন, ‘বাজারের নোংরা পানি জমে থাকা ড্রেন থেকে ভয়াবহ মশার উপদ্রব হচ্ছে।’
সজ্জনকান্দার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘এক বছর ধরে ফগিং দেখিনি। এখন রোগের ভয়েও আছি।’
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তায়েব আলী বলেন, ‘আমাদের ফগার মেশিন মাত্র দুটি সচল রয়েছে। ওষুধ সংকটও রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে।’
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, ‘ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।’
জনগণ দ্রুত কার্যকর মশক নিধন কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








