ঘটনার সুত্রপাত বুধবার বিকেলে৷ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে, মানববন্ধন করে ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাজানো আসামীদের পরিবার৷
মানববন্ধন শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়৷ এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়৷ এসময় বাংলা এডিশনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতকারীরা ৷
ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে, চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হলে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদেশ দেন তিনি৷
বাংলা এডিশনের পক্ষ থেকে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এরপরই জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷ এ সময় আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়৷
এদিকে চাঁদপুর জেলা বিএনপি'র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বাংলা এডিশনকে জানান, ঘটনার সাথে বিএনপি'র কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
ঘটনার শুরু ফেনী জেলার সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির আত্মহত্যার মামলাকে কেন্দ্র করে। আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে, নিরীহ মানুষদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এরপর ওসি শাহ আলম, পিবিআই’র সাবেক প্রধান বনজ কুমারের ভয় দেখিয়ে আদায় করে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে গড়িমসি শুরু করেন ফরিদগঞ্জের ওসি শাহ আলম৷
ওসির দেয়া আশ্বাসে টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা ফরিদগঞ্জ থানার সামনে শাহ আলম ও বনজ কুমারের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন শুরু করে। এসময় ওসি শাহ আলম, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে মানববন্ধন পণ্ড করে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, মামলার নামে ১৬ জন নিরীহ ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতনের পাশাপাশি নগদ টাকা ও স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। এসময় তারা ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অর্থ ফেরতের দাবি জানায়।
জানা যায়, ঘটনাস্থলের পাশেই উপজেলা পরিষদে বিএনপির সমাবেশ চলছিলো। সেই সমাবেশ থেকে মটরসাইকেলে এসে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল মতিন ও হরিদ্বার দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মো. শাহাজহান। তাদের নেতৃত্বে বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী বাংলা এডিশন টিমের ওপর হামলা চালায় এবং মানববন্ধন পণ্ড করে দেয়।
এই ঘটনার পর ইতোমধ্যেই, আব্দুল মতিনের সব ধরনের দলীয় পদ স্থগিত করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
নতুন বাংলাদেশে, পতিত আওয়ামী লীগের মতো, কোনো রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন:








