বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজে আ. লীগ পুনর্বাসন করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৬

আপডেট: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৬

শেয়ার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজে আ. লীগ পুনর্বাসন করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলম
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এমপিওভুক্ত কলেজ ‘শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ’। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পার হলেও আওয়ামীলীগের দোসরমুক্ত হতে পারেনি কলেজটি। অভিযোগ উঠেছে, কৌশলে পুনরায় আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলম।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরও অজানা এক শক্তিতে তিনি আবারো অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। আরো অভিযোগ আছে, এই শরিফুল আলমের নেতৃত্বেই জুলাই বিপ্লবের পক্ষের শিক্ষকদের অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাদের বাদ দিয়ে, স্বৈরাচার ও ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের নিয়ে চালাচ্ছেন কলেজের নানা কার্যক্রম। পূর্বের সব কমিটি ভেঙে মনমত নতুন কমিটি করেছেন যেখানে আওয়ামীলীগ ও তার কাছের লোকজনকে বসানো হয়।

জুলাই বিপ্লবের পক্ষের শক্তির শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগও ওঠে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে। ধারণা করা হচ্ছে, নিজে আওয়ামীলীগের দোসর হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়ে তোলেন তার একচ্ছত্র আধিপত্য। আর এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেন একই কলেজের তিন শিক্ষক ফরহাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ ও নুরুল ইসলাম। এই তিন শিক্ষকের নামেও রয়েছে নানা অভিযোগ। কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষিপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল আলম এবং ওই তিন শিক্ষক ওপর। তাদের অভিযোগ একবছর পার হলেও এখনো ফ্যাসিস্ট ও দোসরমুক্ত হতে পারছেনা কলেজটি।

এমনকি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়েও চলছে নিয়োগ-বাণিজ্য। পাশাপশি কলেজের উত্তর পাশের রাস্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী মহল্লার সাথেও তারা জড়িয়েছেন বিরোধে। কলেজসহ পুরো জেলায় এমন কর্মকান্ডে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় কলেজের আশপাশসহ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জেলার শিক্ষিত ও গুণীজনরা মনে করছেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া উচিৎ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও তাদের।



banner close
banner close