বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কাশিমপুরে ইসরাফিল মুন্সী দিপুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণচেষ্টা, পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে স্থিরচিত্র ধারণ, টাকা দাবি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলাকে ‘ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক’ দাবি করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর দেলদার স্কুলের সামনে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন। বক্তারা বলেন, ইসরাফিল মুন্সী দিপু একজন সৎ, শিক্ষিত ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
মানববন্ধনে স্থানীয় ফজিউদ্দিন বলেন, “আমরা দিপুকে ছোটবেলা থেকে চিনি। সে কখনো এমন কাজ করতে পারে না। প্রতিহিংসার কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।”জলিল বলেন, “জায়গাজমির বিরোধের কারণেই পাপিয়া তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। সঠিক তদন্ত না হলে সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি আস্থা নষ্ট হবে।”
এ সময় বক্তারা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তারা বলেন, প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করে নিরপরাধ কাউকে ফাঁসানো হলে তা সমাজের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
অন্যদিকে মামলার বাদী পাপিয়া বেগম দাবি করেন, স্থানীয়রা জানেন তার মেয়ের সঙ্গে দিপুর সম্পর্ক ছিল।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর বক্তব্য, যদি কোনো সম্পর্ক থেকেও থাকে, সেটাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণচেষ্টা বা চাঁদাবাজির মামলা সাজানো অনৈতিক এবং আইনের অপব্যবহার।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ইসরাফিল মুন্সী দিপুর মুক্তির দাবি জানান। তারা সতর্ক করে বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:








