মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

চবি-জোবরাবাসীর সংঘর্ষ; শিক্ষার্থীদের কোপানোর নেপথ্যে ছাত্রলীগের দুই নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫১

শেয়ার

চবি-জোবরাবাসীর সংঘর্ষ; শিক্ষার্থীদের কোপানোর নেপথ্যে ছাত্রলীগের দুই নেতা
ছবি:সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে বর্বরতার পেছনে থাকা দুই যুবকের নাম উঠে এসেছে।

ইতোমধ্যে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের ধারালো রামদা দিয়ে কোপানো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ওই ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদ ত্রিশাদ। তিনি ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আহ্বায়ক।

এদিকে স্থানীয়দের উসকানি দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা। জহির উদ্দিন চৌধুরী টিটু নামের এই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা স্থানীয় লোকদের জড়ো করেন। তিনি ছাত্রদের ওপর হামলার নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন, প্রিয় জোবরাবাসী, নিজেদের সম্মান রক্ষা করো। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ শক্তি দেখাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি নিজ চোখে দেখেছি, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ছেলেরা শিক্ষার্থীদের তাড়া করছে, দা দিয়ে কুপিয়েছে। তাদের হাতে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না।

তবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই নেতাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ছিল থমথমে। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ক্যাম্পাসের আশেপাশেও লোকজনের তেমন উপস্থিতি ছিল না। জোবরা গ্রামের দিকে ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে টহলরত ছিল যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের প্রভাষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের দুইটা বোর্ডও স্থগিত করা হয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা ক্যাম্পাসে চলে আসায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক পদোন্নতি বোর্ড সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জানা য়ায়, ক্যাম্পাস এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারা সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। রোববার রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ২১ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে।

উল্লেখ্য, রোববার রাত ও সোমবার দুপুর প্রায় ৩টা পর্যন্ত হামলা-পালটা হামলায় অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩ জনকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক রয়েছে আরও কয়েকজন।



banner close
banner close