মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গা শহরে বসানো বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরা অকেজো

আসিম সাঈদ,চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:১০

শেয়ার

চুয়াডাঙ্গা শহরে বসানো বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরা অকেজো
ছবি: বাংলা এডিশন

শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বছর খানেক আগে ৩৫ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরাই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরার যান্ত্রিক ত্রুটি ও ক্যাবল নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন অকেজ হয়ে পড়ে থাকলেও এগুলো মেরামত করতে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

জেলা পুলিশ বলছে, শহরের সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য কোন বাজেট দেয় না সরকার। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা মেরামত ও স্থাপনা করা হয়। অকেজ সিসি ক্যামেরাগুলা মেরামতের জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের সহযোগিতায় কাজ করবে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন শহরের ১০ থেকে ১৫ টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয় ছাত্র জনতা। এরপর থেকে সিসি ক্যামেরাগুলা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে মারামারি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, শহরের সবকটির গুরুত্বপুর্ণ স্থান ও অলিগলি এবং পাড়া মহল্লায় পুনরায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হোক। সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে রাখলে শহরের মানুষের নির্বিগ্নে চলাচল ও বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে।

তারা বলেন, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এর ফলে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা ক্যামেরার সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে নষ্ট সিসি ক্যামেরার কারণে অপরাধ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল মামুন নামে বড়বাজার এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়েছে। বেশ কিছু স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করলেও শহরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থানেই ক্যামেরা নেই। নিরাপত্তার জন্য পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

রইসুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ইদানিং এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তাই শহরের বেশিরভাগ স্থানেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন যায়গায় বসানো ক্যামেরা যেগুলো অকেজ হয়ে আছে সেগুলো মেরামত করা জরুরী।

জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা কারণে সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে শহরে নতুন করে ৩২ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই সেগুলো স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধী শনাক্ত ও শহরবাসীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এগুলো অকেজ হওয়ার কারণে আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার মেরামত ও নতুন করে কেনার জন্য সরকার কোনো বরাদ্দ দেয় না। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা মেরামত ও স্থাপনা করা হয়।



banner close
banner close