বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করতে রংপুরে জাতীয় পার্টির অফিসে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র মজুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৪৬

শেয়ার

ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করতে রংপুরে জাতীয় পার্টির অফিসে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র মজুদ
কোলাজ: বাংলা এডিশন

জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের পালটাপালটি মিছিল-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে দিনভর রংপুর নগরীতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রাতেই জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নেতাকর্মীদের নগরীর দলীয় কার্যালয়ে সকাল ১১টার মধ্যে জমায়েত ডাকেন।

অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বেলা একটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শাহী মসজিদের গলিতে জমায়েত ডাকা হয়।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির রংপুরের সাবেক মেয়র ও দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার মোস্তফা বলেছেন, এখন যদি নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপি সরকারে আসবে। বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে এজন্য বিএনপিকে কিভাবে আলাদা করে রাখা যায়।

দু’টি দলের কর্মসূচির মধ্যে দুপুরের পরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহিদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে গিয়ে নগরীর প্রবেশ দ্বার অর্জন (মর্ডান) মোড়ে কিছুক্ষণ ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

বিকালে জাতীয় পার্টিও অফিসে দলটির পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, কেউ যদি মনে করে রংপুরে জাতীয় পার্টি দুর্বল, তাহলে একবার এসে দেখুক। তাদের যদি শক্তিসামর্থ থাকে, আরও যদি তাদের কেউ থাকে, তাদের নিয়ে আসুক। তাদের হাত পা ভেঙে দেবো।

এমন বক্তব্যের পর রংপুর জাতীয় পার্টির অফিসে লাঠি সোটা মজুদ করতে দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। লাঠি সোটা মজুদের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, কয়েকজন নেতাকর্মী জাতীয় পার্টির অফিসের ভিতরে বাঁশের লাঠি রাখছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বাংলা এডিশন কে জানায়, গতকাল জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানের বক্তব্যের পর গোটা রংপুরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবং তাদের দলীয় অফিসে বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র মজুদ করে রাখতে শুরু করে। তিনি আরো জানান, পার্টি অফিসে অস্ত্র মজুদের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তারা সেগুলো উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

রংপুর মেট্রপলিটন পুলিশের কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) হয়েছে। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।



banner close
banner close