রাজধানীর কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের আহত হওয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার থেকে মিছিলটি বের হয়। এরপর শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্ত্বর সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।
মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন— গণঅধিকার পরিষদের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব ইবনূর-রশিদ মাশুক, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ রয়েল জোয়ার্দার, অর্থ সম্পাদক সোহেল রানা, যুব অধিকার পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
হিরণ মিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি রিয়াদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান-সৌরভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান (ভিক্টর), অর্থ সম্পাদক মোঃ ওমর আলীসহ সংগঠনের অন্যান্ন নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা নুরুল হক নুরের ওপর হামলার কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এ সময় তারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির সভাপতি জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিও তোলেন তারা।
বক্তারা বলেন, যেভাবে আজকে নুরুল হক নুরকে লাঠি ও বুট দিয়ে মারা হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় এই হামলা উদ্দেশ্যমূলক। যারা জুলাইকে সহ্য করতে পারছে না তারা তার ওপর এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
তারা বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি ফ্যাসিস্ট শাসনামলে তিনি বারবার হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাকে প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হতে
হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিস্টের পতনের মধ্যে দিয়ে এই জুলুমের অবসান ঘটবে। কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী নুরকে লক্ষ্য করে আগের মতো একই কায়দায় হামলা চালিয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, আজকের এই ঘটনার পরে জাপাকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। এই জাপাকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার পরে যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা না হয় তবে ছাত্ররা আবার জুলাই ঘটাবে।
তারা আরও বলেন, পুলিশ এখনো তাদের আচরণ বদলায়নি, তারা এখনো আগের মতো হামলা চালায়। ফ্যাসিবাদের এই দোসররা (পুলিশ) আজকে নুরু ভাইয়ের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। এরাই বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর গত কয়েকদিন নির্মম হামলা চালিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ বাধে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে। এ সময় দুই দলের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এরপর জাপা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন নুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর মাঝখানে পড়ে গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর।
আরও পড়ুন:








