গত ২২ আগস্ট অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা এডিশন-এ ‘চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে এক বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক এবং সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম। বিবৃতিতে তারা অভিযোগগুলোর বিস্তারিত জবাব দেন।
কেরু ও চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে
বিবৃতিতে আসলাম হোসেন অর্ক ও সাফফাতুল ইসলাম বলেন, “কেরুতে অনেক বৈধ উপায়ে আয় করার সুযোগ আছে, যেমন জমি লিজ, ইজারা বা চিনির ডিলারশিপ। তবে কেরুর এমডির কাছে আমরা কখনও অনৈতিক কোনো দাবি করিনি। কেবল রোজার মাসে ইফতার মাহফিলের জন্য সামান্য সহযোগিতা চেয়েছিলাম, যা তিনি দিয়েছেন।”
তাদের দাবি করেন, আওয়ামী লীগ, ইউএনও বা এসিল্যান্ড কারও কাছ থেকেই কোনো আর্থিক সুবিধা নেননি। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে দ্বিগুণ ফেরত দিয়ে আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত।
আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রসঙ্গে
আহতদের তালিকা প্রণয়নে তিনি প্রধান দায়িত্বে ছিলেন না, বরং কেন্দ্রীয় নেতারা দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে যাচাই-বাছাই কমিটিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, সরকার নিজ উদ্যোগে কিছু আহতকে ডি ক্যাটাগরি থেকে সি ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে। মোট ৪৬ জন আহত সহায়তা পেয়েছেন।
কেরুর নির্বাচন ও সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ প্রসঙ্গে
তারা বলেন, “কেরুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। আমরা কেবল আওয়ামীকেন্দ্রিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এখানে কোনো সুবিধা নেওয়ার সুযোগ ছিল না।” সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, তারাই প্রথম এ বিষয়ে আন্দোলন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা করেছিলেন।
ব্যক্তিগত অভিযোগ প্রসঙ্গে
অর্ক বলেন, আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন এবং এখনও তার শরীরে ক্ষত রয়েছে। এছাড়া তার মায়ের অসুস্থতার সময়েও তিনি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
সাফফাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগকারী নিজের কানে কোনো কল রেকর্ড শোনেননি, শুধু অন্যের মুখে শুনেছেন। ফলে এ অভিযোগও ভিত্তিহীন।
রাকিবের অভিযোগ প্রসঙ্গে
বিবৃতিতে বলা হয়, কেরুর ডিলারশিপ নিয়ে রাকিব নামে এক তরুণের কাছে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গেলে তিনি জানান, তিনি কোনো সংবাদমাধ্যমকে এ ধরনের অভিযোগ দেননি এবং কোনো সাংবাদিক তার সঙ্গে যোগাযোগও করেননি।
সংবাদপত্রের বক্তব্য
উল্লেখ্য, অভিযোগকারীদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলা এডিশনে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি কোনোভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা আক্রোশমূলক ছিল না।
আরও পড়ুন:








