ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল দেওয়ান বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামি হয়েও দায়িত্ব পালন করছেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন জামিনপ্রাপ্ত আসামি কীভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে এক ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বাবুল দেওয়ানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ, এবং তিনি কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ফের ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
বাবুল দেওয়ানের প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসন ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। স্থানীয়দের দাবি, তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান লাট মিয়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না।
তেঘরিয়ার একজন দোকানদার বলেন, ‘সবাই জানে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বাবুল ভাই। কিন্তু ক্ষমতার জোরে আবার সব আগের মতোই চালাচ্ছেন। উপরের মানুষ থাকলে কাউকে তো ভয় করার কিছু নেই।’
মামলাবাজ ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি থাকা আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের ওপর আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘আমি এখনো মেম্বার আছি কীভাবে, এই প্রশ্ন ইউএনও ম্যাডামকে করেন। বেশি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান লাট মিয়ার ইটভাটার অফিসে চলে আসেন, আমি সেখানেই থাকি।’
তবে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফোজিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে এবং প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন:








