শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রাসেল বাহিনীর প্রধান ১৯মামলার আসামি মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে রাসেল বাহিনীর আরও চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়।
২৯ আগস্ট শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন। এর আগে বৃহস্পতিবার সারারাত এবং শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার সীমান্তঘেঁষা সন্ধ্যাকুড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সন্ধ্যাকুড়া এলাকার আব্দুছ সামাদের ছেলে সীমান্তের মাদক কারবারিদের 'রাসেল বাহিনী'র প্রধান মাদক সম্রাট মো. রাসেল মিয়া (৩০), পশ্চিম সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাকিব আল হাসান (২০), সেলিম মিয়া (২৩), নলকুড়া রাবারড্যাম এলাকার মৃত ডা. আঃ হাই-এর ছেলে শাহাদাত হোসেন এবং কুছাইকুড়া গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে অটোচালক মোহাম্মদ আলী ওরফে আরমান (২৯)।
স্থানীয়রা জানান, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত অঞ্চলে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছে। মাদক, ভারতীয় চোরাইপন্য, নারী পাচারের মতো ভয়ংকর কাজের সাথে তার বাহিনী জড়িত। তার নাম শুনলেই সীমান্তে মানুষ ভয়ে কেঁপে ওঠে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও রাসেলরা অমর হয়ে থাকে। এ বাহিনীসহ সীমান্তের সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন জানান, দীর্ঘদিন থেকে রাসেল বাহিনী নিয়ে পুলিশ কাজ করে আসছে। গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৩০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার বাহিনীর সাকিব, সেলিম, শাহাদাত ও আরমানের কাছ থেকে আরও ২৫ বোতল মদসহ মোট ৫৫ বোতল বিদেশী মদ ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। পাহাড়ি এ অঞ্চলে রাসেল বাহিনীর নামে বিভিন্ন চোরাকারবারি ও মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা চলমান রয়েছে।
শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক জিরো টলারেন্স কার্যকর করতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। অপরাধীদের চক্র যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:








