তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন একদল বিসিএস (নন-ক্যাডার) চাকরিপ্রত্যাশীরা। অনশনের ৩ দিন পেরোতে চললেও এখন পর্যন্ত দাবি পূরণে কোন ইতিবাচক সাড়া না পাওয়াতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা অনশন পালন করছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। জানা গেছে, প্রায় ২৫ জনের চাকরিপ্রত্যাশী আমরণ অনশনে বসেছেন।
কথা হয় ৪৩ তম বিসিএসে নন ক্যাডারে চাকরি প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৪৩ তম বিসিএসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৯ হাজার পদ আমাদের দেওয়ার জন্য পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে কিন্তু একটি বিধির কারণে আটকে আছে। সেটি দুই মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে। এখন বিধিটা গেজেট আকারে প্রকাশ করলেই পিএসসি আমাদের সুপারিশ করতে পারে। এই বিধির বিলম্বের কারণে, অনেক মন্ত্রণালয় তাদের পদগুলো প্রত্যাহার করে আলাদা সার্কুলার দিয়ে নিয়োগে কথা ভাবছে। তাই আমরা চাই অবিলম্বে যেন এই বিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হোক।
আরেক প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, এখান থেকে পিছু হাটার সুযোগ নেই। আমরা ভিক্ষা চাইতে আসিনি। আমার মেধার ভিত্তিতেই এখানে এসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে, আমরা আমরণ অনশন থেকে সরছি না।
অনশনে বসা চাকরি প্রত্যাশীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো: নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদসহ বিসিএস নন-ক্যাডারের নামে অধিযাচনকৃত পদসমূহ প্রত্যাহার করে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্ধ করা এবং বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে আগের মতো পদ বৃদ্ধি করে অধিকসংখ্যক প্রার্থী সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখা।
এর আগে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা উপায়ে দাবি জানিয়েও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে আমরণ অনশনে বসেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়নে ইতিবাচক কোন সাড়া না পাচ্ছেন, সেই পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনশনরত চকরিপ্রত্যাশীরা।
আরও পড়ুন:








