ফেনীতে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকাজুড়ে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা সোনালী ব্রিকফিল্ড থেকে হৃদয়বিদারক এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ রাসেল (১৮) নামে এক যুবককে আটক করে। সে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে এবং দুই বছর ধরে ওই ব্রিকফিল্ডে কাজ করছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে শিশুটি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা মাইকিং করেও তার কোনো খোঁজ পাননি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিকফিল্ডের পাশে শিশুটির জামা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খোঁজ শুরু করলে সেপটিক ট্যাংকে ভাসমান অবস্থায় মেলে তার নিথর দেহ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর নবী জানান, শিশুটি দুপুরে বাবার সঙ্গে ব্রিকফিল্ডে খাবার খেতে আসে। আটক যুবক রাসেল তাকে চিনতো। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করেছে—দুপুরের পর সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:








