বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

মিল্কভিটায় দুধের দাম বৃদ্ধির দাবিতে সমবায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:১৩

শেয়ার

মিল্কভিটায় দুধের দাম বৃদ্ধির দাবিতে সমবায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
ছবি সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা)-এর প্রান্তিক খামারিরা দুধের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। দাবি পূরণ না হলে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমবায়ীরা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আজ সকাল ১১টায় শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার প্রধান ফটকের সামনে প্রাথমিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন করেন। এরপর তারা বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বাঘাবাড়ি বড়াল সেতুর উত্তর পাশে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মানববন্ধনে সমবায়ীদের পক্ষ থেকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে দুধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমবায়ীদের অভিযোগ

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মিল্কভিটা খামারিদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৪৫-৫০ টাকায় ক্রয় করলেও বাজারে তা ১০০ টাকায় বিক্রি করছে। গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কিন্তু খামারিদের দুধের দাম বাড়ানো হয়নি। এ ছাড়া, মিল্কভিটা প্রতি লিটারে ৬০ পয়সা গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও চিকিৎসার জন্য এবং ৪০ পয়সা শেয়ার বাবদ কেটে রাখলেও খামারিরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শেয়ারের কোট সার্টিফিকেটও প্রদান করা হচ্ছে না।

মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হলেও খামারিদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এটি মিল্কভিটার অচলাবস্থার অন্যতম কারণ। রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান এনামুল হক নয়ন এবং পোতাজিয়া সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফও একই অভিযোগ তুলে ধরেন।

মিল্কভিটার অচলাবস্থা

বাঘাবাড়ি মিল্কশেড এলাকায় দৈনিক ২-২.৫ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হলেও মিল্কভিটায় মাত্র ২০,০০০ লিটার সরবরাহ করা হচ্ছে। খামারিরা জানান, ন্যায্য দাম ও সুবিধার অভাবে দুধ সরবরাহে আগ্রহ কমছে, যা মিল্কভিটার জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি করছে।

দাবি ও সম্ভাব্য প্রভাব

সমবায়ীরা দুধের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও প্রতিশ্রুত সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, ন্যায্য দাম নিশ্চিত হলে খামারিরা উৎসাহিত হবেন এবং মিল্কভিটার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। অন্যথায়, দুধ সরবরাহ বন্ধ হলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।



banner close
banner close