চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি-মোবারকপুর ইউনিয়নের চাতরা হাট সংলগ্ন পাইকোড়তলা থেকে শংকর মাদিয়া হয়ে গোয়াবাড়ী চাঁদপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার শত শত মানুষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দুই মাস রাস্তা খোঁড়া হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। খুঁড়ে ফেলা রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষসহ প্রায় ২৫০ পরিবার প্রতিদিন চরম দুর্দশার শিকার হচ্ছেন।
এলাকার ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বলেন, 'রাস্তা খুঁড়ে ফেলার পর থেকে ভআমাদের কষ্টের সীমা নেই। সাইকেল বা মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, স্কুলগামী বাচ্চাদের হেঁটে যাওয়া ও চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন আমাদেরকে বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে।'
অন্যদিকে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ্ অভিযোগ করে বলেন, 'এ রাস্তায় বাজার-ঘাটে যাতায়াতের জন্য মানুষ এখন চরমভাবে ভুগছে। অথচ কাজ শুরুর নামে শুধু রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে।'
স্থানীয়রা আরও জানান, ঠিকাদার তাদের বলেছেন- 'এখন বালি ও ভরাটের দাম বেশি তাই এই মুহুর্তে কাজ করা সম্ভব নয়।' এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রাস্তার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স সানজিদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও জেলা ঠিকাদার সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ জিয়াউল হক জীবনকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, 'বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ আছে। কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। আর এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।'
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, '২০২৫ সালের জুন মাসে এ কাজের টেন্ডার পাস হয়েছে চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে জলাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে তা আগে শুনিনি। তবে এখন যেহেতু জানলাম, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।' তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন করে উক্ত সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি, অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করা হোক, নইলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করবে।
উল্লেখ্য যে, চাতরা হাট সংলগ্ন পাইকোড়তলা থেকে গোয়াবাড়ী চাঁদপুর পর্যন্ত এ রাস্তা স্থানীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। প্রতিদিন কৃষিজাত পণ্য, ব্যবসায়িক মালামাল ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রধান যাতায়াতের পথ এটি বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় এ রাস্তাটি যেন দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:








