টেকনাফের নাফ নদী থেকে আরাকান আর্মি ফের দুটি ট্রলারসহ ১১ জেলেকে আটক করে নিয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বাকি ৬ জন রোহিঙ্গা জেলে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে টেকনাফ নাইক্ষ্যংদিয়া মিয়ানমার অংশ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। এনিয়ে গত টানা চার দিনে ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৪ জন মাঝি-মাল্লা অপহরণের শিকার হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটে বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাঝি বলেন, ‘স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে জেনেছি মঙ্গলবার সাগর থেকে মাছ ধরে নৌঘাটে ফেরার পথে আরাকান আর্মি সদস্যরা স্পিডবোট যোগে এসে অস্ত্রের মুখে ট্রলারসহ ১১ জেলেকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি জেলে বাকি ৬ জন রোহিঙ্গা জেলে বলে জানা গেছে। এর আগে আমার মালিকানাধীন একটি ট্রলার সহ ১২ জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এখনো তাদেরকে ছেড়ে দেয়নি। নাফনদী বা সাগরে বার বার আরাকান আর্মির কারনে জেলেরা ভয় ও আতঙ্কে থাকেন।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জেনেছি আবারো আরাকান আর্মির হাতে ১১ জন জেলে আটক হয়েছে বলে শুনেছি। নাইক্ষ্যংদিয়া অংশে যে সম্যসা হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় কথা হয়েছে। তবে জেলেদেরকে মাছ ধরার সময় সর্তক থাকতে হবে, জেলেরা যেনো কোন মতে মিয়ানমার সীমান্তে অনুপ্রবেশ না করে।’
প্রায় প্রতিদিনই আরাকান আর্মির সদস্যরা সাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৫০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








