রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নির্দেশনা অমান্য, ডিলারের বাড়িতে চাল বিতরণ: দুর্ভোগে কার্ডধারীরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৩

শেয়ার

নির্দেশনা অমান্য, ডিলারের বাড়িতে চাল বিতরণ: দুর্ভোগে কার্ডধারীরা
ছবি: বাংলা এডিশন

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বাজারে উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে নতুন ডিলারের বাড়ি থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কার্ডধারী সুফলভোগীরা।

সোমবার দুপুরে গোড়ল ইউনিয়নের বলাইরহাট পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার জাকির হোসেনের নিজ বাসার একটি টিনসেড ঘরের মেঝেতে ত্রিপলের ওপর রাখা সরকারি চালের বস্তা ইঁদুর কেটে ফেলায় চাল ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ঘর থেকেই কার্ডধারীদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছিল। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এ চাল বিতরণ করার কথা বাজারের জনসমাগমপূর্ণ উন্মুক্তস্থানে।

জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হয়। প্রতিটি কার্ডধারীর জন্য ৩০ কেজির একটি বস্তা নির্ধারণ করা থাকে। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত তিনজন ডিলার নিয়োগ করে সরকার। ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়- চাল সংরক্ষণে পরিবেশবান্ধব পাকা গুদাম থাকতে হবে এবং তা অবশ্যই স্থানীয় বাজার বা জনবান্ধব স্থানে হতে হবে।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও বাছাই কমিটির উদাসীনতায় অর্থের বিনিময়ে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে বলাইরহাট পয়েন্টের ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাজারে গুদাম না থাকায় তিনি নিজ বাড়িতেই চাল সংরক্ষণ ও বিতরণ শুরু করেন।

ভুক্তভোগী প্রফুল্ল বর্মন বলেন,“আগের ডিলার বাজার থেকে চাল দিতেন। এখন নতুন ডিলারের বাড়ি থেকে চাল নিতে আসতে হচ্ছে। মুল সড়ক থেকে তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা কাঁচা হওয়ায় গাড়িতে আনা যায় না, কষ্ট করে বহন করতে হয়।

গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শ্যামলী রানী বলেন,“সুফলভোগীদের সুবিধার্থে চাল বিতরণের পয়েন্ট বাজারে হওয়া উচিত ছিল। ডিলার বাড়িতে নিয়েছেন-এটা ঠিক হয়নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাবো।”

এ বিষয়ে ডিলার জাকির হোসেন বলেম,“খাদ্য বিভাগের ডিলার হিসেবে এবারই প্রথম নিয়োগ পেয়েছি। আমার ঘরটি গুদাম হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন উপজেলা বাছাই কমিটি। তবে বাজারেও আমার গুদাম আছে, প্রয়োজনে সেখানে সরিয়ে নেবো।

কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক বলেন,“বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব চাল সংরক্ষণ বা বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান,“জনবান্ধব স্থানের বাইরে বাড়িতে চাল সংরক্ষণ বা বিতরণ করার নিয়ম নেই। বলাইরহাট পয়েন্টের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



banner close
banner close