২০২৪ সালে পাঁচ আগষ্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ডিসির বদলির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনও হয়েছিলো। এছাড়া বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা দোকানের ছাদে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকে হুমকি দেয়া এবং সাংবাদিককে শাস্তি দেয়ায় হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বাউফলের ইউএনও আমিনুল ইসলামের অবস্থান নিয়ে আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব দিয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, পটুয়াখালীর ডিসি ডিবির হারুনের মত একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছিল। বিভিন্ন উপজেলার বিতর্কিত ইউএনওদের শেল্টার দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন৷ তাঁর জন্য রাখতে হত নির্দিষ্ট কমিশন।
অবশেষে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে পটুয়াখালীর ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিনকে বদলি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের বদলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন:








