কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।
রবিবার দুপুর একটা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে— ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, মাহবুবের বহিষ্কার’, ‘প্রক্টর মাহবুবের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মাহবুব জঙ্গি, খুনি হাসিনার সঙ্গী’, ‘প্রক্টর মাহবুবের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাবেক প্রক্টর মাহবুব আমাদের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া, পরীক্ষার হল থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, ইসলামী শিক্ষার মক্তব বন্ধ করে দেওয়া মূল হোতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধীকর্মকাণ্ডে বিভিন্ন ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের নাম জড়িয়ে দিতেন। মিথ্যা সাক্ষী নেবার জন্য শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে ক্রসফায়ার দেবার জন্য তিনদিন পর্যন্ত গুম করে রেখেছিল। শিক্ষার্থীরা জানে ছাত্রশিবির কখনো তোমাদের মতো নোংরি করেনা।’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গত শাসনামলে দেখেছি শিক্ষক রাজনীতি হয়না-হয়েছে চেয়ারদখলের রাজনীতি। সেসময় প্রক্টর মাহবুব বাদী হয়ে ৭০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, সেই মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নাই! অভ্যুত্থানের এক বছর পার হওয়ার পরেও তাদের মতো ফ্যাসিস্টদের সাথে বর্তমান প্রশাসনের কিসের গলায় গলায় খাতির, তা এখনো আমাদের বুঝে আসে না। যদি এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার করা না হয়; সাজিদের মতো আরেকটি হত্যাকাণ্ড হয়ে যেতে পারে। এই আওয়ামীপন্থীরা এখনো কিভাবে কাকে হত্যা করা যায়, কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা যায়, কাকে কিভাবে খুন করা যায়— সে পরিকল্পনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাহবুবরের মতো তথাকথিত শিক্ষকের মতো সন্ত্রাসীদের কাছে সবচেয়ে অনিরাপদ। আমরা তাদের ক্যাম্পাসে দেখতে চাইনা।’
উল্লেখ্য ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠন (ইকসু) , সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন এবং সদ্য ঘটে যাওয়া সাজিদ হত্যার যথাযথ বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন:








