সিরাজগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৮১তম গণশুনানিতে ১৩৪টি অভিযোগ দাখিল হয়। এর মধ্যে ৯৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করবে, ২৬টি অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং আদালতে বিচারাধীন থাকায় ৩টি অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
রোববার সকাল ৯টায় গণশুনানির উদ্বোধন করেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। তিনি বলেন, সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে অনৈতিক কার্যক্রম দুর্নীতির বিস্তার ঘটায়। দুর্নীতি দমনে বর্তমান কমিশন জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. ফজলুল হক। বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন, মহাপরিচালক (তদন্ত-১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন।
গণশুনানিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সরকারি সেবা পেতে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ সরাসরি কমিশনের সামনে অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা ছাড়াও বাকিগুলো অনুসন্ধান ও তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এ গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন:








