শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং জনতার মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৪৯

শেয়ার

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং জনতার মানববন্ধন
ছবি সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামদেব বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সুন্দরগঞ্জ-রংপুর সড়কে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের তিনশতাধিক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অবহেলার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অর্থের হিসাব-নিকাশে গড়মিল করছেন তিনি। বিদ্যালয়ের জমিতে ধান চাষ করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মসজিদ নির্মাণের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়া এবং বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন অভিভাবকরা।

এছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম নেই, শিক্ষকদের জন্যও কোনো ওয়াশরুম নেই বলে অভিযোগ করেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে তিনজন শিক্ষক টাইমস্কেল থেকে বঞ্চিত এবং শিক্ষকদের কোড পরিবর্তন না করার অভিযোগও তোলেন আন্দোলনকারীরা।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, এসব অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ নষ্ট হচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাঁরা অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানান।

ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসীর পক্ষে মহিদুল ইসলাম, ভুক্তভোগী আব্দুল আউয়াল খন্দকার, সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা, ফেরদৌস হাসান ফাহিম এবং বর্তমান শিক্ষার্থী মনজিলা আক্তার মেঘলা, মোহনা আক্তার, রেশমি আক্তার, হুমায়রা ইয়াসমিন হিমু, নাসরিন আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা সড়কে বসে পড়েন। এতে সুন্দরগঞ্জ-রংপুর সড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় এবং ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের যাত্রীরা।



banner close
banner close