শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক বাবু খান

আসিম সাঈদ

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫৭

আপডেট: ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৯

শেয়ার

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক বাবু খান
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে, বিশেষ করে ১২ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন।

বেশ কয়েকটি দল আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চুড়ান্ত করলেও দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি এখননো কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন তা চুড়ান্ত করেনি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা ভাবে নিজ এলাকায় চাঙ্গা রাখছেন ভোটের মাঠ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের (জীবননগর-দামুড়হুদা) স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা বলছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও দেশের তৈরী পোষাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুই হবেন দলীয় প্রার্থী।

শুধু বিএনপির নেতা কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষ বা যারা ভোটার বিশেষ করে তরুণ ভোটার তাদেরও পছন্দের প্রার্থী হলেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। তাদের ভাষ্য বাবু খান একদিকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে যেমন জনপ্রিয় অন্যদিকে একজন যোগ্য ব্যাক্তি। এ এলাকার এসব মানুষের উন্নয়ন হলে তার হাতেই সম্ভব।

এ আসনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদশ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জেলা জামায়াতের আমীর এ্যডভোকেট রুহুল আমিন এ আসনে নির্বাচন করবেন। তবে সাংগঠনিক প্রস্তুতি এবং জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনায় মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু এগিয়ে আছেন বলে মনে করেন ভোটার ও সাধারণ মানুষ। আর দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন মাহমুদ হাসান খান বাবুই হবেন এ আসনের এমপি।

এ আসনের স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে বিএনপির মনোনয়ন যিনি পাবেন, তিনিই হবেন আগামী দিনের আইনপ্রণেতা। কারণ, এই আসনটি বিএনপির জন্য রিজার্ভ সিট হিসেবে পরিচিত। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে বিএনপির বাবু খানই যোগ্য প্রার্থী।

তারা মনে করেন, শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, ব্যাক্তি বাবু খান সংসদ সদস্য হিসেবে একজন অতি যোগ্য মানুষ। একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে দলের চাইতে ব্যাক্তি বাবু খানের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

তাদের দাবি, এলাকার সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে এক বিশ্বাসের নাম বাবু খান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকার মানুষের কল্যানে কাজ করছেন। ন্যায় কে ন্যায় আর অন্যায় কে অন্যায় বলতে তিনি সময় নেন না। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না।

সাধারণ মানুষ ও ভোটারর বলছেন, বাবু খান প্রার্থী হলে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেসে তাকেই ভোট দেবেন তারা। পরিশেষে তিনি একজন শিক্ষিত, মার্জিত ও সজ্জন ব্যাক্তি। সুতরাং এমন মানুষ এমপি হলে এলাকার উন্নয়ন হবে।

এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নানা চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও মাহমুদ হাসান

খান বাবুর সঠিক দিকনির্দেশনায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ধরে রেখেছিলেন নেতা কর্মীরা। বিশেষ করে বাবু খাঁনের কৌশলী নেতৃত্বের কারণে স্থানীয় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বেশ চাঙ্গা ছিল।

দলের দু:সময়ে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আওয়ামী বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে তিনি এক অনন্য মাত্রা দিয়েছেন। স্থানীয় ভাবে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতিক হয়ে উঠেছেন বাবু খান।

বিএনপির একটি সুত্রের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা তিনি নিজেই দিয়ে থাকেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে রাজপথের আন্দোলনে গতিশীলতা আনতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনের সময় তিনি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন নেতা কর্মীদের নিয়ে। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে নতুন বার্তা দিয়েছেন অনেক সময়।

বিশেষ করে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের কার্যক্রমেও গতি এসেছে। তিনি স্থানীয় বিএনপিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চান। ইতোমধ্যে তিনি দলের কর্মীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করেছেন। তার নির্বাচনী এলাকায় নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে মাহমুদ হাসান খান বাবু বেশ প্রশংসিত।

বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। স্থানীয় নেতাদের মতানৈক্য নিরসন করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করছেন। পাশাপাশি, বিএনপির শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি অত্যন্ত কঠোর।

যে কোনো ধরনের দলীয় শৃঙ্খলাভঙের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলীয় কাঠামোকে শক্তিশালী রাখার চেষ্টা করছেন। এতে দলের নিয়মানুবর্তিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা বেড়েছে।

স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে জীবননগর ও দামুড়হুদায় বিএনপি নেতাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন চালানো হয়। কেড়ে নেয়া হয় সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার। এখন আর সেই ভয় নেই। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন নির্বাচনের আগে মুক্ত পরিবেশে তাই দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি।

জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা দিনের ভোট রাতে করে জনগণকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। দেশের জনগণ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। মানুষ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসত হামলা-মামলা।’

তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা নেই। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন উৎসবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই এলাকা থেকে চিরতরে ফ্যাসিজমকে নির্মূল করবে।’

তিনি বলেন, ‘এ আসনে (জীবননগর-দামুড়হুদা) জেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহামুদ হাসান খান বাবুই ধানের শীষের প্রার্থী। আমরা সবাই ওনার হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করছি। আমাদের বিশ্বাস উনি সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী হবেন।’

দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান বলেন, মাহামুদ হাসান খান বাবু এই জনপদের সন্তান। রাজনীতি কিন্তু ওনার পেশা নয়। উনি মানুষের সেবা করার জন্য ভোট করবেন। শুধু ভোটের সময়ই নয়, সবসময়ই মানুষের পাশে ছিলেন তিনি, আগামীতেও থাকবেন।’

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন।



banner close
banner close