জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ছাব্বির হোসেনের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার জুতিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাত প্রায় ২টা ৫০ মিনিটের দিকে একদল সশস্ত্র ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। এরপর তারা ঘরের আলমারি ও বাক্সপত্র ভেঙে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও রৌপ্যসহ মূল্যবান সবকিছু লুট করে নেয়।
ভুক্তভোগী ছাব্বির হোসেনের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলা এডিশনকে জানান, ‘রাত আনুমানিক ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই একদল সশস্ত্র ডাকাত ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমেই তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী মোসা. সাবিনা ইয়াসমিনকে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে ফেলে। এরপর ঘরের আলমারি ও বাক্সপত্র ভেঙে সঞ্চিত অর্থ, বহু বছরের পরিশ্রমে জমিয়ে রাখা স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু রৌপ্য নিয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সংসার থেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে সামান্য কিছু স্বর্ণ তৈরি করেছিলাম। আমার সবটুকু স্বর্ণ, টাকা-পয়সা সবকিছু নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এখন আমরা একেবারে নিঃস্ব।’
ডাকাতরা চলে যাওয়ার আগে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওরা হুমকি দিয়ে গেছে, যদি প্রশাসনকে জানাই তাহলে প্রশাসন আমাদের বাঁচাতে পারবে না, আমাদের হত্যা করে ফেলবে।’
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে পরিবার আরও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছে। মামলা গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ভুক্তভোগীরা এসে অভিযোগ দিলেই মামলা গ্রহণ করা হবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশবাসীর কাছেও নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য আকুল আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন:








