ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক নারী পুলিশ সদস্যকে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানার পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্তের স্ত্রী একই ব্যারাকে অবস্থান করতেন।
ভুক্তভোগী নারী পুলিশ জানিয়েছেন, আশুলিয়া থানা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর সাফিউর প্রথমে তার সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর গত রমজানে ঈদের পর রাতে একা থাকার সুযোগে ব্যারাকে ঢুকে তিনি ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইবনে ফরহাদ এবং ওসি তদন্ত আল-আমিন হোসেন বিষয়টি জানলেও অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এমনকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনও মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
অভিযুক্ত সাফিউর রহমান সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে ওসি আক্তার হোসেন দাবি করেছেন, তার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি এবং বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার দেখছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান বলেন, "ঘটনাটি নিয়ে বিশেষ দল তদন্ত করছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে ভুক্তভোগী নারী পুলিশের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেও, কেউ কেউ একই ব্যারাকে থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিষয়টি সাজানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী পুলিশ, অভিযুক্ত কনস্টেবল সাফিউর এবং তার স্ত্রী—তিনজনকেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে।
আরও পড়ুন:








