সাভারে বিএনপি নেতার বাড়িতে এক তরুণী (২৬) কে ছয় মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কেয়ারটেকার আরিফের বিরুদ্ধে। সাভার পৌরসভার মজিদপুর সংলগ্ন এলাকায় বিএনপি’র সহ-পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়িতে ঘটেছে এমন ঘটনা।
তবে বিএনপি নেতার রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভুক্তভোগী তরুণীকেও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
বিএনপি নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর অফিস সহকারি জাহিদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয় কয়েকজন সাংবাদিকেও। তবে ঘটনাটি জানাজানি হলে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র আলোচনা সমালোচনা।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, বিয়ের প্রলোভনে বিএনপি নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়িতে আটকে রেখে ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল বাড়ির কেয়ারটেকার আরিফ। বিভিন্ন সময় তাকে বিয়ের কথা বলে বারবার টালবাহানা করতে থাকে। গত ৮ আগস্ট বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে পিটিয়ে যখম করে আরিফ। সেদিন রাতেই সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে হাসপাতালের ২নং কেবিনে ৯ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ১০ আগস্ট তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক সমঝোতা করান বিএনপি নেতার অফিস সহকারি জাহিদসহ কয়েকজন। এই ঘটনায় মামলা করতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় চলে আসতে বাধ্য করেন বিএনপি নেতার লোকজন।
এদিকে, ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করতে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী একাধিক বিএনপি নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি’র কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, আরিফ নিজেকে সাবেক এমপির পিএস পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। বিগত দিনেও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি সালাউদ্দিন বাবু।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ বাংলা এডিশনকে বলেন, বুধবার ২০ আগষ্ট রাতে ধর্ষণের শিকার সেই নারী কে বিয়ে করেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে বিএনপি’র সহ-পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:








