সিরাজগঞ্জে ঘুষের টাকা না পেয়ে এক সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা চার্জশীট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিআইডির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনেরা।
আবেদনে বলা হয়, বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাঁতী গ্রামের সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম নয়ন ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আখের আলী। এ নিয়ে তিন পরিবারের পক্ষ থেকে হয়রানি থেকে রক্ষার আবেদন জানানো হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর বেলকুচির দেলুয়া গ্রামের এক নারী তার কন্যাকে ভারতে পাচারের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয় আব্দুল বাতেন খাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত শেষে অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে বাদী নারাজি দিলে আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তদন্তভার পাওয়ার পর এসআই আখের আলী আসামিদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে সাংবাদিক জহুরুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন।
আসামিপক্ষের দাবি, চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং ঘটনার দিনও তিনি সেখানেই ছিলেন। সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম ওইদিন বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সভায় উপস্থিত ছিলেন, যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। জাহিদুল ইসলাম নয়নও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তারা অভিযোগ করেন, এ মামলায় সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম প্রায় নয় মাস ধরে পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন, ফলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অভিযোগের বিষয়ে এসআই আখের আলী বলেন, “স্বাক্ষীদের বক্তব্য ও তদন্তের ভিত্তিতেই আমি আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন এটি আদালতের এখতিয়ার।” ঘুষ দাবির অভিযোগ তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন:








