শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

লুটের পাথর নৌপথে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট, ২০২৫ ০৭:১৮

শেয়ার

লুটের পাথর নৌপথে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
ছবি: বাংলা এডিশন

সিলেটের লুটের পাথর এবার নৌপথে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানোর কারণে পাথর ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে সড়কপথ ছেড়ে পথকে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিনই নৌপথে পাথর সরানো হচ্ছে।

গতকাল বুধবার সিলেট নগরীর মুরাদপুরে সুরমা নদীতে শাহপরাণ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে পাঁচটি পাথরবাহী বাল্কহেড। তবে উদ্ধার হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনে কাজ পুরোদমে চললেও প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সিলেটের মানুষ।

এদিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সিলেটে পাথর ব্যবসায় ধস নামলেও বন্ধ হয়নি পাথর সরানোর কাজ। আগে সড়কপথে পাথর সরানো হলেও যৌথ বাহিনীর অভিযানে কৌশল পাল্টেছে। ব্যবসায়ীরা নৌপথে সরিয়ে নিচ্ছেন পাথর।

জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাটের সুরমা নদী, কোম্পানীগঞ্জের ধলাই, গোয়াইনঘাটে পিয়াইন, জৈন্তাপুরে সারী নদী দিয়ে কয়েকশ নৌকাযোগে পাথর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও নদীপথে কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় অনেক পাথর চলে গেছে জেলার বাইরে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ, পরে সুরমা হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জে চলে গেছে অনেক পাথর।

ছাড়া লুটের পাথর সুরমা নদী হয়ে চলে গেছে ছাতকেও। পরে সেগুলো বৌলা, নোয়ারাই, পেপার মিল ঘাট, গোয়ালগাঁও, ছাতক বাজার বেদে পল্লি এলাকায় পাথর ডাম্পিং করে রাখা হয়েছে।

ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, যে পাথর উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো সরকারি মাল। এগুলো চোরাইপথে লোভাছড়া কানাইঘাট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। উদ্ধারের পর তারা যে কাগজপত্র দিয়েছে, এগুলোর মেয়াদও নেই। খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি, তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে উদ্ধার হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে চার-পাঁচ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ব্যাপারে এডিসি নূরের জামান চৌধুরী জানান, বুধবার সাদাপাথর পরিদর্শনে যান সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার রেজা উন নবী। তিনি পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন।

জাফলং বল্লাঘাট পাথর ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ বলেন, আমরা সব সময় লুটপাটের বিরুদ্ধে। পাথর লুটপাটে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। তারা কোনোভাবেই দায়ভার এড়াতে পারে না। বৈধভাবে যারা ব্যবসা করেন, তাদের পক্ষে আছি। সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুল করিম কিম বলেন, দুদকের প্রতিবেদনে পাথর লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতাকর্মীর নাম প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকা প্রকাশকে আমরা স্বাগত জানাই।



banner close
banner close