শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

রংপুরে স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৫৩

আপডেট: ২০ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৫৪

শেয়ার

রংপুরে স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
ছবি সংগৃহীত

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়ার মান উন্নয়নে মিনি বিসিবি তৈরি করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগ হলেও এখানে বিভাগীয় স্টেডিয়াম নেই। অচিরেই এখানে বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।

বুধবার বিকেলে রংপুর স্টেডিয়ামে ৩৬ জুলাই গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ভবিষ্যতে ক্রীড়াকে এগিয়ে নিতে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের খেলার প্রতি আগ্রহ রয়েছে, আর সেই আগ্রহকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে আমরা সবধরনের খেলাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। উপজেলাভিত্তিক টুর্নামেন্টের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এমন টুর্নামেন্ট প্রতিটি জেলায় হলে স্থানীয় সংস্কৃতি ও খেলাধুলার প্রসার ঘটবে এবং প্রান্তিক পর্যায় থেকেই জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এ ধরণের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে রংপুরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩৬ জুলাই গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ফাইনাল খেলায় রংপুর সদর উপজেলার মুখোমুখি হয় গঙ্গাচড়া উপজেলা দল।

ফাইনাল খেলা দেখতে গঙ্গাচড়া, সদর উপজেলাসহ রংপুর জেলার ৮ উপজেলা থেকে ট্রাক, বাস, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাইকেলে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। রংপুর স্টেডিয়ামের ইতিহাসে এত পরিমাণ দর্শক গত দুই দশকেও কখনো হয়নি। দর্শকদের উপস্থিতিতে গ্যালারিতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

মাঠে খেলোয়াড়দের ক্রীড়া নৈপুণ্যের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা হাততালি দিয়ে, বাঁশি বাজিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন। অনেক দর্শক ‘রংপুর বিভাগীয় স্টেডিয়াম চাই, ‘বছরব্যাপী টুর্নামেন্ট চাই নানা লেখা সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে এসেছিলেন।

ফাইনাল খেলায় গঙ্গাচড়া দলের পক্ষ হয়ে খেলোয়াড় ইউনুস প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। ম্যাচের ২০ মিনিটে সদর উপজেলার খেলোয়াড় জুয়েল গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে গঙ্গাচড়া দলের হয়ে ইয়াসিন গোল করে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান।

খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার জিতেন গঙ্গাচড়া দলের খেলোয়াড় মানিক এবং টুর্নামেন্টে সেরা হন সদর উপজেলার মেহেদী। খেলা শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিজয়ী ও বিজিত দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।



banner close
banner close