শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় অরক্ষিত রেলগেটগুলো এখন মৃত্যুফাঁদ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি  

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৮

আপডেট: ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২২

শেয়ার

চুয়াডাঙ্গায় অরক্ষিত রেলগেটগুলো এখন মৃত্যুফাঁদ
কোলাজ: বাংলা এডিশন

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা রেলপথ রয়েছে ৪২ দশমিক ছয় পাঁচ কিলোমিটার। রেলক্রসিং রয়েছে মোট ৩০টি। এরমধ্যে ১৫টিই আছে অরক্ষিত অবস্থায়। এসব অরক্ষিত রেলগেটগুলো পরিনত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে।

এ ছাড়া স্থানীয়দের তৈরি করা অন্তত ২৫টি রাস্তা রয়েছে, যা দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে গ্রামের অভ্যন্তরে। এসব স্থানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

গত সাত মাসে চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেটম্যানের স্বল্পতা, ত্রুটিপূর্ণ ব্যারিয়ার এবং অরক্ষিত ক্রসিংগুলোর কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ রেলক্রসিংগুলোকে সুরক্ষিত করতে দীর্ঘদিনেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ রেলগেটগুলোতে দায়সারাভাবে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেলগেটে প্রয়োজনীয় লোকবল ও চলাচলকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে কমবে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।

স্থানীয়রা বলেন, কর্তৃপক্ষ অরক্ষিত রেলগেটগুলোতে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় সেরেছে। দীর্ঘদিন এসব রেলগেট অরক্ষিত রয়েছে। বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

তারা বলেন, গেটম্যান ও গেট না থাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে অবাধে চলাচল করছে পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত থাকার কারণে দূর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

তারা আরও বলেন, অনেক গেটে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেন স্থানীয় দোকানি ও সাধারণ মানুষ। ট্রেন আসা দেখলেই তারা পথচারীদের সতর্ক করেন ও গেটের কাছে এসে সাবধানে যাতায়াতের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চুয়াডাঙ্গা জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ জগদীশ চন্দ্র বসু জানান, জনবল সংকটের কারণে জেলার বেশিরভাগ রেলগেটে গেটম্যান নেই, এটা সত্য। তবে মানুষের অসচেতনতার কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে বেশি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ৯ জন। পুলিশ প্রতিটি ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, রেলগেটে লোকবল সংকট রয়েছে। ১৩টি গেটে গেটম্যান আছে, বাকিগুলাতে নেই। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, ১৮৬২ সালে কলকাতা থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে রেলপথে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এ রেলপথ দিয়ে আন্তঃনগর, মেইল ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।



banner close
banner close