শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

পটুয়াখালীতে অনিয়মের তথ্য চেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৪৬

আপডেট: ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৪৭

শেয়ার

পটুয়াখালীতে অনিয়মের তথ্য চেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক
ছবি: বাংলা এডিশন

পটুয়াখালীতে অনিয়মের তথ্য চাওয়া স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌনে ছয়টায় পটুয়াখালী সার্কিট হাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে এসেছে।

ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি ও স্থানীয় সাংবাদিক গোপাল হালদার জানান, ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম রইসুল ইসলাম ইমন। তিনি যমুনা টেলিভিশনের বাউফল উপজেলা করেসপনডেন্ট এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। সার্কিট হাউজের সামনে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন সাংবাদিক রইসুল।

তখন তড়িঘড়ি করে ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠে যায় দেলোয়ার হোসাইন। তখন তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করছিলেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। এরমধ্যে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে এসে তাকে বাজে ভাষায় গালি দেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। সাংবাদিক রইসুলের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। একপর্যায়ে মোবাইল টানাহেঁচড়ার করতে সার্কিট হাউজ চত্ত্বরে চলে আসেন দুজন। তখন রইসুলকে লাঞ্ছিত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তা। পরে ভুক্তভোগীর সহকর্মীরা এগিয়ে এলে তখন নিজের গাড়ি রেখেই একটি অটোরিকশায় উঠে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন৷

পটুয়াখালী পৌরসভার সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরায় এসব দৃশ্য ধরা রেকর্ড হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাউফল উপজেলার পাঁচটি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের বিষয় দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করছিলেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। মুঠোফোনেও সাংবাদিকের সাথে উচ্চবাচ্য করে সংযোগ কেটে দেন দেলোয়ার। পরে তার যায় সাংবাদিক রইসুল কিন্তু সেখানেও অনুপস্থিত অভিযুক্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন। তিনি সার্কিট হাউজে আছেন জানতে পেরে সেখানে যায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক। তখনই তাকে লাঞ্ছিত করেন ওই কর্মকর্তা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজামত ও ট্রেজারী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার সাকিব উল আলম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুক্তভোগী সাংবাদিককে লিখিত ভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে, অবশ্যই জেলা প্রশাসক মহোদয় অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



banner close
banner close