শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

ভোলাগঞ্জে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ, গ্রেপ্তার পাঁচ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ০৮:৫১

শেয়ার

ভোলাগঞ্জে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ, গ্রেপ্তার পাঁচ
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্র থেকে সাদাপাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা, উপজেলা পুলিশ প্রশাসন আলাদা আলাদা তালিকা করছে। দুই দিনের মধ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। এর পরই মামলা করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। শনিবার প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, পাশাপাশি চলছে পাথর প্রতিস্থাপন। পাথর লুট বহনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবারও সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল স্টোন ক্রাশার জোন (পাথর ভাঙার অঞ্চল) স্থানীয় মহালদিক গ্রামের ভেতর থেকে আড়াই লাখ ঘনুফট পাথর জব্দ করে যৌথ বাহিনী। পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াত। তিনি জানান, ক্রাশার জোন থেকে এক লাখ ৩০ হাজার গ্রামের ভেতর থেকে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। জব্দ পাথর আবার ভোলাগঞ্জে প্রতিস্থাপন করা হবে। নিয়ে গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন পাথর জব্দ করা হলো।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেনকোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল মিয়া পিচ্চি কামাল, কালাইরাগ গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে মো. আবু সাঈদ, নাজিরেরগাঁওয়ের মৃত মনফর আলী ছেলে মো. আবুল কালাম, লাছুখালের শহীদ মিয়ার ছেলে ইমান আলী জাহাঙ্গীর আলম। এদের মধ্যে ইমান আলী জাহাঙ্গীরকে পাথরভর্তি ট্রাকসহ আটক করা হয়। অন্যদের পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।

এদিকে পাথর লুটের ঘটনায় এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে মামলা করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুষ্কৃতকারীরা গত বছরের আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। শুধু ভোলাগঞ্জ নয়, জাফলং জিরো পয়েন্টসহ কোয়ারি এলাকা থেকে পাথর লুটের ঘটনার তালিকা হচ্ছে। গত এক বছরে ভোলাগঞ্জ জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনায় থানা পুলিশ পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে। এবার তালিকা প্রণয়ন শেষে মামলা করবে প্রশাসন।



banner close
banner close